বাংলা পোর্টাল: আজ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলের দশম আসর। সাতটি দল অংশগ্রহণ করছে এবারের আসরে। দেশি তারকা ক্রিকেটার ছাড়াও ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর অনেক নামী-দামি তারকারাও অংশ নিচ্ছেন এবারের আসরে। তবে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় থাকবে পাকিস্তানের। গত আসরে ডিআরএস ব্যবস্থাসহ ব্রডকাস্টিংয়ের অনেক বিষয় নিয়ে সমালোচনা ছিল। এবার বিসিবি সেই বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে মানসম্মত টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।’
গত আসরের মতো এবারও বিপিএলের খেলা হবে তিন ভেন্যুতে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। লিগ পর্বে প্রতিদিন থাকবে দুই ম্যাচ। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের অনুশীলন সেরে নিয়েছে দলগুলো। বিদেশী খেলোয়াড়রাও এসে পৌঁছেছেন। এবারের আসরে বিপিএলের নিয়ম কানুনেও আসছে পরিবর্তন। মূলত আইসিসির কিছু পরিবর্তনের কারণে এটি করতে হচ্ছে বিপিএল আয়োজকদের।
বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক রকিবুল হাসান জানান, টুর্নামেন্টটির প্লেয়িং কন্ডিশনেও কিছু পরিবর্তন আসছে। বোলিং পরিবর্তনে ৬০ সেকেন্ডের বেশি সময় নিলে ফিল্ডিং দলকে প্রথমবার সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয়বারও একই ভুল করলে পেনাল্টি হিসেবে ব্যাটিং দল পাবে ৫ রান। বিপিএলের আগের আসরে ছিলো না এই নিয়ম।’
এদিকে আসন্ন বিপিএলে স্ট্যাম্পিং রিভিউতে নো বল চেক করবেন না আম্পায়ার। টাইমড আউটের পরিবর্তে থাকবে ৫ রানের পেনাল্টি। তবে প্রথমবার সতর্ক করা হবে ব্যাটিং দলকে। কোনো দল বিদেশি কোটা পূরণ করতে না পারলে ম্যাচ রেফারির কাছে আবেদন করতে পারবে।
আসন্ন বিপিএলে হাই স্কোরিং উইকেট চায় বিসিবি। সিলেট ও চট্টগ্রামের চেয়ে মিরপুরের উইকেট নিয়ে বেশি চিন্তা থাকলেও টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক আশা করেন, ঢাকাতেও এবার রানের ফুলঝুরি ছুটবে। রকিবুল দাবি করেন, বিপিএলে এবার মিরপুরের উইকেটে ১৮০ থেকে ২০০ রানের ম্যাচ হবে।’