মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিডিআর হত্যাকাণ্ড বিষয়ে বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে আমি প্রথম থেকেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে সোচ্চার ছিলাম এবং এখনও রয়েছি।
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আমি শুরু থেকেই ন্যায়বিচার চেয়ে আসছি। এ বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমবার এবং ৪ নভেম্বর বিজিবির সদর দপ্তর পরিদর্শনকালে দ্বিতীয়বার ঘোষণা প্রদান করি যেটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনা বাহিনীর প্রাক্তন সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে আমি শুরু থেকেই ন্যায়বিচার দাবি করে আসছি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার, সুশাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করণের জন্য আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিতে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, সিভিল সার্ভিস, সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ। কমিটির সদস্য সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ৫ জন, ৭ জন বা ৯ জনও হতে পারে। সশস্ত্রবাহিনীর সংখ্যা একটু বেশি থাকবে।
তাহলে পুনঃতদন্তের দিকে যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই আদেশ দিতে পারে আদালত। আর আমরা হলো একটা শুধু প্রেস ইনকুয়ারি করতে পারি।
কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা ৫ কার্যদিবসের সময় বলবো। আগে কমিটি গঠনের জন্য নামগুলো নিতে হবে। আপনারা জানেন এসব কমিটিতে সবাই আসতে চায় না। এটা একটা সমস্যা। নাম সংগ্রহে যদি সময় না লাগতো তাহলে অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যেত। নাম পাবার পর তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর আমরা সময়টা বলতে পারবো।
কাজের পরিধি কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনার পর বলতে পারবো।
বিচারপতি নাকি অন্য কারো নেতৃত্বে কমিটি হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে মোস্ট সিনিয়র থাকবে তার নেতৃত্বেই এই কমিটি হবে।
কমিটি না কমিশন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বসার পর যদি মনে হয় কমিটি না কমিশন হবে। প্রয়োজন যেটার হবে, সেটাই করা হবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো বিভ্রান্তি আছে কিনা জানতে চাইলে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, না আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো বিভ্রান্তি নেই। তবে বসার সময় আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বসে, তাদের আলাদা মতামতের দরকার হলে আমরা নেব।’