জেমস আব্দুর রহিম রানা: যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটিতে বিকাশ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ছুরিকাঘাত করে দুই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ২ মাস পর ৩ দুর্বৃত্তকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার হয়নি।
আটককৃতরা হলো, কৃষ্ণবাটি গ্রামের রেজাউল করিম রানার ছেলে আশিকুল ইসলাম (২০), লাল্টু মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (২৩) এবং লিটন হাওলাদারের ছেলে নুর আলী (১৯)।
ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, তিনি মোবাইল ব্যাংকিং নগদ ও বিকাশের এজেন্ট। পুলেরহাট বাজারের মহসীন মার্কেটে তার পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি জুতার ব্যবসাও করেন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সাথে একটি ব্যাগের ভেতর ছিলো ব্যবসার দুই লাখ টাকা। বাড়ির গেটের সামনের রাস্তায় পৌঁছালে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে ভর্তি ব্যাগটিতে থাকা দুই লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাসরিন নাহার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ কারণে কয়েকদিন আগে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে ডিবি পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করে। এরপর গত মঙ্গলবার কৃষ্ণবাটিতে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে ১টি বার্মিজ চাকুসহ আটক করে। আটকের পর ওই তিন দুর্বৃত্ত টাকা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা ডিবি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তবে ছিনতাই করা টাকার ভাগ তারা পায়নি বলে দাবি করেছে। তারা ডিবি পুলিশকে আরো জানিয়েছেন, তার দুই সঙ্গী কোরবান ও এরশাদুল টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এদিকে বিকাশ এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনের টাকা ছিনতাই ঘটনার দ্ইু মাস পর বুধবার কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ওই তিনজন ছাড়াও কৃষ্ণবাটি গ্রামের কোরবান আলী (২৬) নামে এক দুর্বৃত্তকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই ইবনে খালিদ হোসেন দাবি করেন, আশিকুল, ইব্রাহীম ও নুর আলীকে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে কৃষ্ণবাটি গ্রাম থেকে তারা আটক করেছেন।