নিজস্ব প্রতিবেদক: এক ঘণ্টা অবস্থানের পর রাজধানীর শাহবাগের মোড় থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। এতে স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল। তবে, অবরোধ প্রত্যাহার করলেও আগামীকাল (রোববার) বিকেল ৩টা থেকে পুনরায় কর্মসূচির ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আন্দোলনে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করছেন।
আজ শনিবার (৬ জুলাই’) বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিটের দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছিলেন৷ অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ের সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে চারপাশের সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়৷ পরে এক ঘণ্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।’
অবরোধ তুলে নেওয়ার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল বিকেল তিনটা থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো৷ শুধু শাহবাগ মোড় নয়, শাহবাগ ও ঢাকা শহরের সায়েন্স ল্যাব, চানখাঁরপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিলসহ প্রতিটি পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা নেমে এসে কর্মসূচি সফল করবেন৷ ঢাকার বাইরের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করবেন।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী ও আদালতকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে সরকার দায়িত্বহীন আচরণ করছে৷ নির্বাহী বিভাগ তার দায় এড়াতে পারে না। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কোটা থাকবে না। তাহলে কোটা কেন আবার ফিরে এল’? কেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করা হচ্ছে? দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করব৷ এটা শুধু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়। শিক্ষক-অভিভাবকদেরও আন্দোলনে নেমে আসতে হবে।’
এর আগে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল বের করা হয়৷ মিছিলটি ক্যাম্পাসের শ্যাডো ও মল চত্বর প্রদক্ষিণ করে মাস্টারদা’ সূর্যসেন হল ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সামনে দিয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বর, টিএসসি ও বকশী বাজার হয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে পলাশী ও আজিমপুর এলাকা ঘুরে ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে থামে৷’