ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪০০ জন রোহিঙ্গা চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি’) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
এরই মধ্যে আজ বিকেল পৌনে ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে দু’জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছে এক শিশুও।
নিহত নারী জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫) অপর নিহত নবী হোসেন (৭০) উখিয়া কুতুপালং ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। নিহত শিশুটি হোসনে আরা বেগমের নাতনি। ‘
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ এবং ঘুমধুম ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া। তারা জানান, নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোহিঙ্গা পুরুষের মরদেহ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হোসনে আরা বেগম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড জলপাইতলীর এলাকার বাসিন্দা। আজ দুপুরে তারা রান্নাঘরে বসে ভাত খাচ্ছিলেন। তখন সেখানে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে মর্টার শেল এসে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে তাদের প্রাণহানি ঘটে।
এদিকে চলমান এ সংঘর্ষে ঘুমধুম এবং পালংখালী সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছেন সহস্রাধিক রোহিঙ্গা। এরমধ্যে অর্ধেক চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন।’