ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলেও এখনো রেশ রয়েছে নির্বাচনের। জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংসহ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংগুলোতে আলোচনা উঠছে- বাংলাদেশের নির্বাচন এবং মানবাধিকার নিয়ে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি, স্থানীয় সময়’) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের নির্বাচনসহ একাধিক ইস্যুতে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে করা একাধিক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
এক প্রশ্নে সাংবাদিক জানতে চান, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ বিরোধীদলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করেছে। নির্বাচনের আগে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী। জবাবে মিলার বলেন, ‘আপনি এর আগে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের মূল্যায়ন শুনেছেন। এই নির্বাচনকে আমরা অবাধ এবং সুষ্ঠু মনে করি না। নির্বাচনের সময়ে বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের বিষয়েও আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, আমি দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলবে। প্রথমত, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জন্য সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, বিরোধীদলের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে। অপর এক প্রশ্নে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে কানাডার তদন্তের একটি বিষয় তুলে ধরে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিক জানতে চান- সমালোচকরা মনে করেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশের নীতি থেকে পিছু হটেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী’? জবাবে মিলার বলেন, কানাডার তদন্তের বিষয়ে আমার আসলে কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে কানাডা তথ্য দিতে পারবে। আমি যে বিষয়ে কথা বলব সেটা হলো, বাংলাদেশের গণতন্ত্র। এর আগেও এই ইস্যুতে অনেকবার কথা বলেছি। বাংলাদেশে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র তার পররাষ্ট্রনীতিতে এগুলোকে প্রাধান্য দেয়। বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য গণতান্ত্রিক নীতিসমূহের যেন বিকাশ হয় সে উদ্দেশ্যে সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত থাকবে।