বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাহাড়ী এলাকায় স্থানীয় আবুল কাশেম, আবুল হোসেন, জামাল আহমদ, আবুল হাশেম, গোলাম কাদের, মো. জসিম এর যৌথভাবে সৃজিত বাগানের শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ভূয়া মালিকানা দাবীকারী স্থানীয় মায়ছারা প্রকাশ মাছুনি বেগম, ছকিনা, নুর জাহান, বুলবুল আকতার, সফি আলম, নেছার আহমদ, সাহানা আক্তার, সাহাব উদ্দীনসহ ১০-১১ জনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের জঙ্গল চাম্বল ৯ নম্বর ওয়ার্ড নতুন পাড়ার পূর্ব দিকে করইল্যা শিয়ার উত্তর পাশে বনবিভাগের চকবন্ধ পাহাড়ী এলাকায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘বিগত ১০ বছর পূর্বে আবুল কাশেম গং মৌখিক অনুমতিতে স্থানীয় বিট অফিস থেকে সবুজ বনায়নের লক্ষ্যে চকবন্ধ প্লট নেয়। যার বনাঞ্চলের পরিমাণ ১০ কানির মতো। তারা চকবন্ধ প্লট এলাকার জঙ্গল ছাপ করার অনুমতি পেলে সেখানে অনেক অর্থ ব্যয় করে শ্রমিক দিয়ে জঙ্গল পরিস্কার করে। পরে স্থানীয় কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে ততায় বিভিন্ন প্রজাতির মালটা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, উন্নত মানের লেবুর চারাসহ সাইনবোর্ড সহকারে অসংখ্য বনজগাছ ও ফলজ গাছ রোপন করেন। এতে তাদের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। সর্বশেষ গত সোমবার সকালে মায়ছারা বেগম গং (১০-১১ জনের একটি দল) অহেতুকভাবে নিজেদের মালিকানা দাবী করে উক্ত চকবন্ধ এলাকায় আবুল কাশেমদের যৌথভাবে সৃজিত বাগানের রোপিত শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলে। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলে কোনো প্রতিকার না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি অফিসার, বনভিভাগসহ সংশ্লীষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু সালেক জানান, ‘চাম্বলের পাহাড়ী এলাকায় সৃজিত বনের গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে আমাকে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে। এভাবে ফলজ গাছ কাটা অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জের কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ জানান, ‘চাম্বলের জঙ্গল চাম্বল পাহাড়ী এলাকায় কিছু ভূমিদস্যু বনজ ও ফলজ গাছ কেটেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে, কাওকে বাগান করার ব্যাপারে লিখিত অনুমতি প্রদান করা হয়নি। নির্বিচারে গাছের চারা কেটে ফেলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।