বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নাপোড়া ভিলেজার পাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় জোরপূর্ব বসতভিটা দখলের উদ্দ্যেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে সংঘবদ্ধ হামলা চালিয়ে একই এলাকার শামসুল আলমের স্ত্রী নুরুজ্জাহান কে গুরুতর জখম ও হত্যাচেষ্টা চালানোর অভিযোগে বাঁশখালী থানায় গত শুক্রবার অভিযুক্ত সাতজনকে আসামী করে নাম উল্লেখপূর্বক মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী।
এ ঘটনায় মামলার আসামীরা হলেন একই এলাকার মো. মমতাজ (৪৭), আবদু ছালাম প্রকাশ ইনচিরগ্যা (৫২), এমতাজুল হক (৪৮), মো. কাইছার (৪৫), মো. খোরশেদ (২৩), মো. তৈয়্যব (৩০), রেহেনা আক্তার (৪২)। গত শুক্রবার নুরুজ্জান বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাদীর অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে নুরুজ্জাহানের বসতভিটা বিচার বর্হিভূত জোরপূর্বক দখলের ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল।আসামীদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সামাজিক ও আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করেও তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে আসামীরা দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত সংঘবদ্ধ হয়ে বসতভিটায় প্রবেশ করলে আমি বাঁধা প্রদান করি। তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত করে। আমার বাম কানে রক্তাক্ত জখম করে। ডান হাতের আঙ্গুলে গুরুতর হাঁড়ভাঙ্গা জখম করে। লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করলে আমার চারটি দাঁত রক্তাক্ত হয়।
তারা লোহার রড দিয়ে এলোপাথারিভাবে আমার কোমরে, উভয় রানে, পীঠে গুরুতর জখম করে। এ সময় তারা জোর করে আমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে বাড়িতে প্রবেশ করে আলমিরা ভেঙে এনজিও সংস্থা হতে উত্তোলিত চার লক্ষ টাকা লুট করে, আলমিরায় রক্ষিত দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়।
বাদী নুরুজ্জাহান আরো বলেন, ‘আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় কয়েকজন আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বিভিন্ন জখম স্থানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছয়টি ছেলাই দেয়। দাঁতে গুরুতর জখম হওয়ায় আমাকে চমেক প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি শুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ‘বসতভিটার জেরে মারধরের বিষয়ে নুরুজ্জাহান বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।