বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গভীর রাতে অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সাম সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র জোর খাটিয়ে ওই জমি দখলের নেতৃত্বে রয়েছে বলে ভুক্তভোগী এক অসহায় পরিবার অভিযোগ করেছে। কাজে বাঁধা দিলে ঘরছাড়া করাসহ প্রাণনাশের হুমকীও দিচ্ছেন অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই পরিবার বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানান। কয়েক ধফায় পুলিশ ঘটনাস্থ পরিদর্শনে গেলেও রাতের আঁধারে জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের কাজ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু ছিদ্দিক স্থানীয় বজল আহমদের পুত্র মীর কাশেম এর বিরুদ্ধে জমি দখল ও জীননাশের হুমকীর অভিযোগ করেন। শেখেরখীল মৌলভীর দোকানের দক্ষিণ পাশে শেখেরখীল-ছনুয়া প্রধান সড়ক হতে অবৈধ দখলদার মীর কাশেম এর বাড়ি পর্যন্ত রাতের আঁধারে একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ করতে ওই জমি দখলের চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়।
সি.আর মামলা ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শেখেরখীল মৌজার বি.এস ২২০ নং খতিয়ানের ৩১৯/৫৩৩৮ দাগের ৪ শতক, বি.এস ৩১৭ ও ২০৩১ দাগাদির ১৬ শতক জমি ভুক্তভোগী আবু ছিদ্দিকের শ্বাশুরের মৌরশী সম্পত্তি ও তার খরিদকৃত জায়গায় বসতভিটা নির্মাণ করে ভোগ দখলে আছেন। আসামীগণ ভিন্ন খতিয়ানের ৩১৮ দাগের দখলদার। তারা অপকৌশলে আবু ছিদ্দিকের স্ত্রীর স্বত্ব দখলীয় ৪ শতক জমির সীমানা ঠেলিয়ে অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক দখল করে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সময়ে বিচার সালীশ হয়। আসামিরা সালীশ বিচার অমান্য করে। সর্বশেষ আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশের মাধ্যমে উক্ত জায়গা দু’পক্ষের সার্ভেয়ার দ্বারা বিচারকদের মাধ্যমে পরিমাপ করে সীমানার খুঁটি নির্ধারণ করে দেয়। উক্ত পরিমাপে বাদী আবু ছিদ্দিকের স্ত্রীর ৪ শতক বা ২ গন্ডা সম্পত্তি আসামিদের দখলে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সালীশকারক সাবেক ইউপি সদস্য জাকের ও মাওলানা হোসাইন বলেন, ‘বাঁশখালী থানা পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে আমরা দু’পক্ষের দু’জন সার্ভেয়ার দ্বারা জায়গাটা পরিমাপ করি। এতে অভিযুক্ত মীর কাশেমের নিকট দুই গন্ডা জায়গা আবু ছিদ্দিক মালিক বলে চিহ্নিত হয়। পরে সে অনুযায়ী আমরা উক্ত জায়গায় খুঁটি স্থাপন করে আবু ছিদ্দিকের নিকট হস্তান্তর করার জন্য সার্ভেয়ার রিপোর্ট প্রধান করি।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার মীর কাশেমের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চেষ্টা করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।