বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে বলা ‘কুরুচিপূর্ণ’ ও ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বিবিসির কাছে অভিযোগ করেন, এসব বক্তব্যের আগে বরং তাকেই আগে ‘নোংরা ভাষায়’ আক্রমণ করে কথা বলা হয়েছে।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিকে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এসব কথা বলেন।
ডা. মুরাদ বিবিসিকে জানান, তিনি এসব বক্তব্য দিয়ে কোনো ভুল করেননি। এগুলো তিনি প্রত্যাহারও করবেন না কিংবা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সরকার ও দলের ওপর থেকে কোনো চাপও নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়সের চেয়ে সে এক বছরের বড়। আমার কন্যার মতো বয়সি হয়ে যে নোংরা ভাষায় আমাকে নিয়ে ট্রল করেছে, সেটা তো কুচিন্তনীয়। এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়েছে। তার সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমের অনেক ছবি আমার কাছে চলে এসেছে।’
সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে আক্রমণ করে মন্তব্য করা প্রসঙ্গে বিবিসিকে তিনি বলেন, ”আপনি যদি ওই টকশোটা দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেন বলেছি”।
“আমি একজন চিকিৎসক। সেই হিসাবে তার সম্পর্কে আমার যে অবজারভেশন, সেটা আমি বলেছি। সেটা ভুল হলে আমি দুঃখিত।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন টক শো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া কিছু বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে, চলতি সপ্তাহে শনিবার একটি টিভি টকশোতে উপস্থিত বিএনপির একজন সাবেক নারী এমপিকে ‘মানসিক রোগী’ বলে অভিহিত করে তার সঙ্গে বিতণ্ডায় লিপ্ত হন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
সবশেষ গতকাল রাতে তার সঙ্গে এক চিত্রনায়িকা বিষয়ক কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়। এরপর থেকে সারাদেশেই চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।