নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুর মধুখালীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)-এর বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এসপি মোর্শেদ আলম বলেন, একটি বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহল আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেছে। পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আজকে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা কোনো অনুমতি নেয়নি। তারা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধসহ সহিংসতার ঘটনা ঘটায়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও সম্পদ ক্ষতিসাধনের অপরাধে মামলা করা হবে’।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের গুলিতে একজন নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। একজন ভ্যানচালক ওই বিক্ষোভের মধ্যে পড়লে তিনি আহত হন। এ সময় হয়তো পুলিশের ছররা গুলি তার গায়ে লাগতে পারে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন’।
পুলিশ সুপার বলেন, দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই ভাইকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে দুই ভাই আশরাফুল খান ও আরসাদুল খানকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরাতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ছররা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়লে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’