নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠ শুনেই ছুটে এলো খরগোশের দল। শনিবার (১৫ জুন’) গণভবনে কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ শেষে খরগোশের ঘরের সামনে গেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসময় প্রধানমন্ত্রী ‘আয় আয়’ বলে ডাক দিলে ছুটে আসে খরগোশের দল।
গণভবনে কৃষক লীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ২০২৪ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে কৃষির ওপর। আমাদের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর পরই তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তার ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। যখন তিনি এই ঘুনেধরা সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়ার পদক্ষেপ নেন এবং বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে আত্মমর্যাদাশীল করে গড়ে তোলার বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। আমাদের দুর্ভাগ্য সেই সময় জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
গাছ লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ুর ক্ষতি করে না। কিন্তু জলবায়ু অভিঘাতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। গাছ আমাদের প্রাণ, শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়। ফল ও ঔষধি গাছের উপকারিতা অনেক। এজন্য গাছ লাগাতে হবে। নদীর পাড়, উপকূলে এবং ঘরবাড়িতে গাছ লাগান। তবে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। শহরে ছাদেও ছোট ছোট গাছ লাগাতে পারেন। উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা। কৃত্রিম উপায়ে বৃক্ষরোপণ করা। ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে বাঁচাতে আমাদের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট করতে হবে।
মাটির গুণ রক্ষায় পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বারবার একই ফসল করতে করতে মাটির গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য মাঝখানে আরেকটা করলে মাটি পুষ্টি ফিরে পায়। যেমন-আমরা বারবার ধান করছি, এটার মাঝখানে আরেকটা করতে পারলে মাটির পুষ্টি বাড়বে।
শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এত ঝামেলা। আমরা কেন উৎপাদন করি না? ৪০ শতাংশ আমরা জোগান দেই। এটা আরও বাড়বে। পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষাণী অনেক টাকা আয় করে। ভুট্টাও চাষ হতো না, সেটাও করছি। আগে সবজি শীতকালে পাওয়া যেত, কিন্তু এখন আমরা গবেষণা করে বারোমাসি সবজির জাত উদ্ভাবন করেছি। এখন এটার ফল পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও কৃষক লীগের নেতারা অংশ নেন।’