নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম ও এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে ১২টার পর সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হবে। সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এক ভিডিওবার্তার মাধ্যমে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘রাত ১০টার পর থেকে ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান, বিক্ষোভ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের জন্য যে অপমানজনক মন্তব্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) করেছেন, অবশ্যই সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে সেই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ (প্রত্যাহার) করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন,’আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ‘অপমানজনক’। উনার সেই বক্তব্যের পর (রোববার’) সন্ধ্যা থেকেই চাকরিপ্রার্থী ও কোটা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসেন। তারা সেই বক্তব্যের প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হল থেকে নেমে আসেন। সারাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামেন।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, দুপুর ১২টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যদি তার বক্তব্যটি প্রত্যাহার না করেন, তাহলে সারাদেশের সব শিক্ষার্থীকে সোমবার দুপুর ১২টায় দেশের সব স্থানে বিক্ষোভ মিছিল পালনের আহ্বান করছি। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ আয়োজন করা হবে বলেও ওই ভিডিওবার্তায় জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রোববার (১৪ জুলাই’) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সম্প্রতি নিজের চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে প্রসঙ্গক্রমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়টিও উঠে আসে। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।
সরকারপ্রধানের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে কোটা এদিন রাতেই বিক্ষোভে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালসহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।’