নিজস্ব প্রতিবেদক: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পুলিশ হেফাজতে আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের এক এসআইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি’) দুপুরে সরিষাবাড়ী আমলি আদালতে নিহতের বাবা আব্দুস সামাদ দুলু বাদী হয়ে মামলটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে আনোয়ার হোসেন সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা বাজারে কেনাকাটা করতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপনের নির্দেশে তার অনুসারী সোহেল রানা, ফিরোজ মিয়া ও মনছুর মিয়া তাকে সেখান থেকে জোরপূর্বক তুলে স্থানীয় চাপারকোনা মহেষ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারপিট করা হয়।
এরপর হামলাকারীরা নিজেরা পুলিশে খবর দিলে আহত আনোয়ার হোসেনকে সরিষাবাড়ী থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। পরে রাত ১১টার দিকে ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন তার লোকজন নিয়ে থানায় প্রবেশ করে।’
ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান, আনোয়ারের বাবা আব্দুস সামাদ দুলুকে ফোন করে জানায় তার ছেলে গুরুতর অসুস্থ। তাকে চিকিৎসার জন্য সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে আনেয়ারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় পিতা আব্দুস সামাদ।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় হামলাকারী সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের দোলভিটি গ্রামের মৃত. নুরুল ইসলামের দুই ছেলে ও ইউপি চেয়ারম্যানের খালাত ভাই সোহেল রানা ও ফিরোজ মিয়া, একই ইউনিয়নের চাপারকোনা গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে মনছুর মিয়া, ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন ও সরিষাবাড়ী থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই শহিদুর ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসিকে ওই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আদালতকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান জানান, আদালত আনোয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলাসহ যেসব তথ্য জানতে চেয়েছে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়া হবে।’