নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রেস সচিব হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানের নিযুক্তির কথা চূড়ান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৮ মে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করেনি।
নিয়ম অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এই সারসংক্ষেপ অনুযায়ী একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন করবে এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বঙ্গভবনের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বঙ্গভবনে এই সংক্রান্ত কোন সার সংক্ষেপ পাঠানো হয়নি। কোথায় গিয়ে আটকে আছে-এ নিয়ে নানামুখী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য যে, ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানকে নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় এবং তার জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা যতদিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অভিপ্রায় ব্যক্ত করবেন, ততদিন পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করে তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করার কথা। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা।
সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে একদিনেই প্রজ্ঞাপন জারি হয়। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ দুই দিন লাগে। কিন্তু নাঈমুল ইসলাম খানের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ দিনেও এই প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালক (প্রশাসন) যে সারসংক্ষেপটি পাঠিয়েছেন সেটি গণমাধ্যমে কীভাবে প্রকাশিত হল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।’
তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফাঁস হয়নি। তাহলে এটি কোথা থেকে ফাঁস হল? কে ফাঁস করল? এটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন উঠেছে। এটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নাঈমুল ইসলাম খানের পক্ষে বিপক্ষে নানা রকম বক্তব্য এসেছে। কেউ কেউ নাঈমুল ইসলাম খানের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছে। অনেকে এই ব্যাপারটি সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মহলের কাছেও পাঠিয়েছে। আবার অনেকেই তার প্রশংসা করেছে।’
এই ধরণের স্পর্শকাতর নিয়োগের ক্ষেত্রে যে গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত ছিল, সেই গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়নি বলেই অনেকে মনে করেন। নাঈমুল ইসলাম খানের পক্ষে যেমন একটি অংশ আছে তেমনি নাঈমুল ইসলাম খান যেন শেষ পর্যন্ত প্রেস সচিব হতে না পারেন, প্রজ্ঞাপন যেন জারি না হয় সেজন্য কোন কোন মহল সক্রিয়। আর তারা নাঈমুল ইসলাম খানের অতীত কর্মকাণ্ড, তার নানা রকম নেতিবাচক দিক নিয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে তথ্য উপাত্ত নিয়ে ছুটাছুটি করছেন। সব কিছু মিলিয়ে পাঁচ দিনেও এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়াটাকে অনেকে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে মনে করছেন। এখন দেখার বিসয় যে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।’