আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর সিএনএনের।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন মতে বহুল আলোচিত ফৌজদারি মামলাটির শুনানিকালে বিচারক হুয়ান মারচান বলেছেন, সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সাবেক প্রেসিডেন্টকে এবার কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন তিনি।
মামলার সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এরই মধ্যে ট্রাম্পকে ৯ বারে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন নিউ ইয়র্কের একটি আদালত।
বিচারক মারচান বলেন, সোমবার শুনানিকালে ট্রাম্প আরও একবার অর্থাৎ দশমবারের মতো একই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছেন। এবার আর জরিমানা নয়, কারাদাণ্ডের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল যেন ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলেন তিনি। মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি স্টর্মি ড্যানিয়েলসের। কিন্তু এই তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে করে গত মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। সেই থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই শুনানি চলছে।’
আগামী দুইমাস ধরে আদালতে এই মামলার শুনানি চলতে পারে। সেসব শুনানিতে ট্রাম্পকে উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে নির্বাচনী জনসভায় না গিয়ে ট্রাম্পকে আদালতে হাজিরা দিতে যেতে হবে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনী প্রচার থেকে আমাকে সরানোর জন্যই এই ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এভাবে আমাকে হারানো যাবে না।’