ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: এবার কোরবানি ঈদে সারা দেশে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮ টি বেশি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এবার মোট মজুদ ছিলো ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু। সে অনুযায়ী ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি পশু অবিক্রিত থেকে গেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এবার মোট মজুদ ছিলো ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু। এবার সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ও ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম পশু বিক্রি হয়েছে। এ বছর ঢাকায় ২৫ লাখ ২০ হাজার, চট্টগ্রামে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার আর রাজশাহীতে ২৩ লাখ পশু বিক্রি হয়। গত বছর কোরবানি ঈদে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়।’
এদিকে এ ঈদে ১ কোটি ১০ লাখ পিস পশুর চামড়া সংরক্ষণের লক্ষ্য ট্যানারি মালিকদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রস্তুতি থাকলেও চিন্তা রয়েছে অতিরিক্ত বর্জ্য নিয়ে। কারণ কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের সক্ষমতা এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার আমরা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। কিন্তু আমি মনে করি এটা কোনোভাবে বাস্তবসম্মত না। কারণ যেখানে কোম্পানিগুলো এমপ্লায়েন্স হতে পারছে না, সেখানে এই বাস্তবায়নটা বড় চ্যালেঞ্জ।’
প্রতি বছরের মতো এবারও শিল্পনগরীর বড় সমস্যা চামড়ার কঠিন বর্জ্য। সরেজমিনে দেখা যায়, সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কঠিন বর্জ্য নির্ধারিত প্লটের বাইরে ফেলা হচ্ছে রাস্তার দু ধারে। ভেঙে গেছে সীমানা প্রাচীরও। কোরবানির বাড়তি চাপ সামাল দিতে শঙ্কা বাড়ছে আগের চেয়ে বেশি।’