দুদক মতির হিসেবের খাতা খুলছে কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এনবিআরের সদস্য এবং কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানে দুর্নীতির হিসেবের খাতা কাল দুর্নীতি দমন কমিশন খুলতে পারে বলে জানা গেছে। আগামীকাল দুদক এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে। ড. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগের তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করে দেখবেন। প্রাথমিক ভাবে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে সেক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন তার অস্থাবর সম্পত্তিগুলোকে ক্রোক করার জন্য নির্দেশনা দিতে পারে। এরপর তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনেও হাজির হতে পারে বলে জানা গেছে।’

দুদকের আইন অনুযায়ী একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে এবং তিনি যদি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ গ্রহণ করেন তাহলে তার বক্তব্যের ভিত্তিতে তদন্তকে আবার পুনঃনিরীক্ষা করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন মনে করে যে প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী। এই ধারাবাহিকতায় দুর্নীতি দমন কমিশন হয়ত তার স্ত্রী এবং পুত্র কন্যাদেরকেও তদন্তের জন্য দুদকে হাজির হতে বলতে পারে। এভাবেই তদন্ত এগোবে।

উল্লেখ্য, ঈদের আগে ছাগল কাণ্ড নিয়ে ফেঁসে যান ড. মতিউর রহমান। একজন ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনে ফেসবুকে ভাইরাল হন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি এনবিআরের সদস্য ড. মতিউর রহমানের পুত্র। কিন্তু পরদিনই মতিউর রহমান অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে, এই নামে তার কোন পুত্র নাই। তার কোন আত্মীয় স্বজন নেই। আর এর প্রেক্ষিতেই শুরু হয় নতুন করে আলোচনা এবং জল ঘোলা করা।

ইফাত মতিউর রহমানের পুত্র কি না এটা খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে মতিউর রহমানের রত্নভাণ্ডারের খবর। তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ সম্পর্কে গণমাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে যে, এই বিষয়টি তারা উপেক্ষা করতে পারে না। আর এ কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশন তার ব্যাপারে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তবে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, গণমাধ্যমের রিপোর্ট এলেই যে একজন দুর্নীতিবাজ এমনটা মনে করার কারণ নেই। এটি উপযুক্ত যাচাই বাছাইয়ের পর বলা যাবে যে ড. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সত্যতা কতটুকু?

উল্লেখ্য, এর আগেও মতিউর রহমানকে কয়েকবার দুর্নীতি দমন কমিশন তলব করেছিল। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত মতিউর রহমানকে নির্দোষ হিসেবে বলা হয়েছিল। মতিউর রহমান অবশ্য গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন তিনি নিদোর্ষ। তিনি কোন দুর্নীতি করেননি। তিনি শেয়ার বাজারের ব্যবসা করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে দাবি করেছেন। তবে এবার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, শুধুমাত্র শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে এত বিপুল পরিমাণ বিত্তের মালিক হওয়া যায় কি না। তাছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদেরও সম্পদের উৎস সম্পর্কে তথ্য আরোহণ করবে বলে জানা গেছে। আগামীকাল থেকে শুরু হবে ড. মতিউর রহমানের খাতা খোলা। পরবর্তীতে জানা যাবে মতিউর রহমানের দুর্নীতির অভিযোগগুলো কতটুকু সত্য এবং আইনের চোখে তিনি দোষী না নিদোর্ষ।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

বাসর রাতের ভিডিও করে আলোচনায় নবদম্পতি

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্লগিংয়ের নামে ব্যক্তিগত জীবনের মুহূর্ত সবার সঙ্গে শেয়ার করছেন ভ্লগাররা। কিন্তু তাই বলে বাসর রাতের ভ্লগ? এবার তা-ও দেখা

ইউএনও’র কক্ষে ৪ জামায়াত নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর সামনেই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীরসহ ৪ নেতাকে বেধড়ক মারধর করলেন বিএনপি নেতারা।’ এসময় অবৈধ বালু

সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল

কাল আবু সাঈদের বাড়িতে যাচ্ছেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যাবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিষয়টি

গ্রেফতার হয়েছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন

নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর

চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া বাবার তিন সন্তানের মেডিকেলে চান্স

ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: মাফিউল, সাফিউল এবং রাফিউল। একসাথে বেড়ে উঠা তাদের। শিক্ষা জীবনের শুরুটাও একসঙ্গে। জন্মের প্রায় ৫ বছরের মধ্যেই হৃদ্‌রোগে মারা যান বাবা।