ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় যারা চেয়ারম্যান হয়েছেন-
বগুড়া: তৃতীয় ধাপে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে, সদর উপজেলার মোট ১৪৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের ফলাফলে শুভাশীষ পোদ্দার লিটন আনারস প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৮৫ ভোট।
রাঙ্গামাটি: তৃতীয় ধাপে রাঙ্গামাটির লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লংগদু উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারকে চার হাজার ১৬০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছে। আনারস প্রতীকে বাবুল দাশ বাবু পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুল বারেক সরকার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৮২৬ ভোট।
অন্যদিকে নানিয়ারচরে ১৪টি ভোট কেন্দ্রের সবকয়টি ফলাফলে ৬ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের অমর জীবন চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জ্যোতিলাল চাকমা পেয়েছেন ৪১৬২টি ভোট।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মশিউর রহমান বাবু ও আমিনুল ইসলাম লাল্টু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে স্ব স্ব উপজেলা রির্টানিং অফিস থেকে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এস এম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।
এদিকে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টু ৪৭ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টু পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৪১ ভোট।
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল (তিনি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের আপন ছোট ভাই)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান (আনারস) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭১২।
অপরদিকে, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৮৭ টি কেন্দ্রে ৪২ হাজার ৬৬৯ ভোট পেয়ে ভানুলাল রায় কাপ-পিরিচ প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ্ব আছকির মিয়া মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৭৬ ভোট।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে তৃতীয় ধাপের দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ডামুড্যা উপজেলা পরিষদে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন জেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশিদ গোলন্দাজ। অন্যদিকে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা হেলিকপ্টার প্রতীকের মো. মোশাররফ সরদার।
শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রশিদ গোলন্দাজ ২৪ হাজার ৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইক প্রতীকের প্রার্থী মো. আলমগীর পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭১৫ ভোট। অন্যদিকে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোশারফ হোসেন (হেলিকপ্টার) প্রতীক, ২০ হাজার ১৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন দুলাল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৫ ভোট।
নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ৭৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সাংসদের স্ত্রী ফেরদৌসী ইসলাম।
ফরিদপুর: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫০৮ ভোট।
অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কাওসার ভুইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬২ হাজার ৮৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৩০ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: তৃতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঞ্ছারামপুরে তৃতীয়াবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।
অন্যদিকে আশুগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. জিয়াউল করিম খাঁন সাজু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।
নীলফামারী: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নীলফামারী সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চন্দ্র চক্রবর্তী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪৬ ভোট।
খাগড়াছড়ি: তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহালছড়ি উপজেলায় বিমল কান্তি চাকমা কাপ পিরিচ প্রতীক ১০ হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা’) প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংজরী চৌধুরী আনারস প্রীতিকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৫২ ভোট।
টাঙ্গাইল: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তোফাজ্জল হোসেন তোফা, দেলদুয়ার উপজেলায় মাহমুদুল হাসান মারুফ ও নাগরপুর উপজেলায় কেএম সালমান শামস বিজয়ী হয়েছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকে তোফাজ্জল হোসেন তোফা ৪২ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২০৮ ভোট। দেলদুয়ার উপজেলায় মাহমুদুল হাসান মারুফ ২৯ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি টেলিফোন প্রতীকে এম শিবলি সাদিক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৪ ভোট। নাগরপুর উপজেলায় কেএম সালমান শামস আনারস প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুছ ছামাদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮১৭ ভোট।’
মানিকগঞ্জ: তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৪ হাজার ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আপন ফুপাতো ভাই মো. ইসরাফিল হোসেন পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট।
অন্যদিকে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম ৬০টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এতে জাসদের (আম্বিয়া) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক মো. শাহজাহান আলী সাজু মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমজাদ হোসেন লাল মিয়া কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬১ ভোট।
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপপিরিচ প্রতীকে ৪১ হাজার ১৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন রফিকুল ইসলাম কিরণ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের আওলাদ আলী রেজা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৯৬৩ ভোট।’
এদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দেওয়ান তানভীর আশরাফী বাবু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াতকলম প্রতীকের আরিফুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন ২১ হাজার ২২৯ ভোট।
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬০ হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব আখতারুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের রেজওয়ানুল হক বিপ্লব পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩১৫ ভোট।’
জামালপুর: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় রায়হান রহমতুল্যাহ রিমু কাপপিরিচ প্রতীকে ৪৮ হাজার ৬১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওবায়দুর রহমান বেলাল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৩৪ ভোট।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন কৈ মাছ প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ। এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল রশিদ তালুকদার।
রাজশাহী: রাজশাহী পবা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক হোসেন ডাবলু। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৮৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমদাদুল হক ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫২৯। এদিকে মোহনপুর উপজেলা পরিষদের বেসরকারিভাবে ৩১ হাজার ১১৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আফজাল হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আল মমিন শাহ পেয়েছেন (কাপপিরিচ) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৬ হাজার ২৯৭।
সিরাজগঞ্জ: তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৪২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল হামিদ কাপপিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৮৪ ভোট।
অন্যদিকে চৌহালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তাজ উদ্দিন দোয়াতকলম প্রতীকে ১৪ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ফারুক হোসেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩০২ ভোট।
পাবনা: তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনা সদর, আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬৫ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৩৩৫ ভোট।
ঈশ্বরদী উপজেলাতে এমদাদুল হক রানা সরদার আনারস প্রতীকে ৩৯ হাজার ১৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২৩০ ভোট।’
অন্যদিকে আটঘরিয়া উপজেলায় তানভীর ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪০ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।
নোয়াখালী: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে জয়ী ব্যক্তিদের তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান আনারস প্রতীকে ৪৭ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থক এম এইচ শওকত রেজা চৌধুরী আরমান কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৭৬ ভোট।
বেগমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাহেদ শাহরিয়ার দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন আজিম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭২৫ ভোট।
অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল আনারস প্রতীকে ৪৮হাজার ১৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৯ ভোট।
রংপুর: তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাব্বির আহমেদ কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৩৭ ভোট।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে কৃষ্ণ রঞ্জন বর্মন ১৭ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ফরিদা পারভীন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৩০ ভোট।
অন্যদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন কাপপিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০৮ ভোট।’