তানজিলা আক্তার রাজশাহী, প্রতিনিধি: তাপদাহে পাখি ও পথের কুকুরের তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে এলো রাজশাহীের স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন
গত কয়েক সপ্তাহের তীব্র দাবদাহ ও ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জনসাধারণের পাশাপাশি পশু-পাখিদের মাঝেও অস্বস্তি বিরাজ করছে। বিশেষ করে বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়াল ও পাখিদের পানির তৃষ্ণা মেটানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় (০২ মে, ২০২৪)
রাজশাহী বড়কুঠি পদ্মা পার্কে তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাবে পাখি ও পথের কুকুর এই শিরোনামে রাজশাহী স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনেগুলোর আয়োজনে পথের কুকুর এবং পাখির জন্য পানির ব্যবস্থা করেন ।
এসময় পথের পাশে মাটির ডোগাতে পানি এবং গাছে ডোগা বেধে তাতে ঠান্ডা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন যুবরা। এতে অংশ নেয় রাজশাহী বিভাগের বৃহৎ যুব ঐক্য বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুব সদস্যগণ। একই সাথে তারা হালে প্লেকার্ড ফেস্টুন নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ধনী দেশগুলোর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করার কথা বলেন। তারা রাজশাহী শহরের প্রাকৃতিক জলাধারগুলোর সুরক্ষা, পুকুর খনন বন্ধসহ এই নগরীর আর একটি বৃক্ষ কর্তন যাতে না হয় সেই দাবি তুলে ধরেন।
এসময় বারসিকের গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, বারসিক’র কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর
তহুরা খাতুন লিলি, অমিত সরকারসহ বিভিন্ন যুব সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বারসিকের গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম বলেন- আমাদের চারিপাশের যতোই বৃক্ষ শুন্য এবং প্রাকৃতিক জলাধাগুলো নষ্ট করে ফেলছি ততোই আমরা সবাই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন শুধু মানুষ নয়, এখানে বন্য প্রাণী এবং পাখিগুলোর সংকট আরো বেশি দেখা দিয়েছে। এভাবে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলে আমরা আরো ক্ষীতর শিকার হবো। এ রকম দুর্যোগের , তীব্র তাপপ্রবাহে এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলোই আমাদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
এদিকে রাজশাহী স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন জিরো পয়েন্ট সিক্স জিআর জেড এর সভাপতি জুবায়ের হোসেন বলেন, একসময় চারিদিকে ছিলো পুকুর আর প্রাকৃতিক জলাধার, অনেক বড় বড় গাছ ছিলো এই শহর জুড়ে। শীত কিংবা গরমে এমনকি তীব্র তাপদাহের সময় এসকল বৃক্ষ লতাপাতায় প্রাণ জুড়াতো মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী ও পাখিরা। প্রাকৃতিক জলাধার পুকুর দীঘিগুলোতে তৃষ্ণা মেটাতো পাখি ও শহর বন্যপ্রাণী গুলো। কিন্তু এগুলো কমে যাবার কারণে তীব্র তাপপ্রবাহের সময় রাজশাহী শহরে এসকল প্রাণের সমস্যা বেশি বেড়ে গেছে। আমরা চাই এসকল আর যেনো ধ্বংস না করা হয়।