বাংলা পোর্টাল: রাজধানীর পল্টন মডেল থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দুই মামলায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি’) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসাআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর মামলার আসামিরা বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করে। আসামিদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশি অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে পুলিশ সদস্যদের কয়েক জন গুরুতর আহত হন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য এবং যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে মির্জা ফখরুল ১১ মামলার আসামি। যার মধ্যে ৯ মামলায় গত ১০ জানুয়ারি তার জামিন মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। একইদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।’
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর গুলশানে নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। পরে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ২৯ অক্টোবর আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ৩ নভেম্বর তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।’