
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য। টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো সুন্দরবন। আর এর ফলে মৃত্যু হয়েছে অনেক বন্যপ্রাণীর।
রোববার (২৬ মে) থেকে সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা বর্ষণ ও ঝড়ে উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা। একটানা এই বৃষ্টি ও ঝড়ে প্রাণ গেছে বন্য প্রাণীদের। এছাড়াও বনবিভাগের বেশ কয়েকটি অফিসসহ টহল বোট ভেঙ্গে গেছে।
সোমবার (২৭ মে’) বিকেলে বনের খালের চরে বেশ কয়েকটি মৃত হরিণ পাওয়া গেছে। টানা বৃষ্টিতে সুন্দরবনে প্রায় ৬ থেকে ৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে জোয়ারের পানি। এতে বনের ভেতরে মিঠা পানির পুকুরগুলো তলিয়ে গেছে লোনা পানিতে। পুকুরে লোনা পানি ঢুকে যাওয়ায় বনের প্রাণীদের সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে।’
এদিকে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের একমাত্র করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের নানা অবকাঠামো।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে পর্যটক চলাচলে তৈরি এখানকার কাঠের সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে তছনছ হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। তবে পুরো সুন্দরবনের গাছপালাসহ কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিশ্চিত করে এখনই বলা সম্ভব না।’
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহম্মদ নূরুল করিম বলেন, ‘আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের গাছপালাসহ বন্যপ্রাণীর কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিশ্চিত করে জানানো সম্ভব নয়, তবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে-এটা নিশ্চিত।’