আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হঠাৎ করেই হামলার তীব্রতা ব্যাপক হারে বাড়িয়েছে ইসরাইল। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরো ৪৫ জন। এ নিয়ে গাজায় নিহত বেড়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৫৪৫ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৭৬ হাজার ৯৪ জন।
বৃহস্পতিবার উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে ইসরাইলি সেনারা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বর্বরতা রুখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন জোর তৎপরতা চালাচ্ছে, এমন সময়ই সংঘাত উসকে দিচ্ছে ইসরাইল। হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করার পর এবার হঠাৎ করে উপত্যকাজুড়ে আগ্রাসনের মাত্রা বাড়িয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার গাজা সিটি মার্কেটে বোমাবর্ষণ করে ইসরাইলি সেনারা। এতে হামাস নেতাসহ বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া হামাস সদস্যদের হত্যার অজুহাতে মধ্যাঞ্চলের বুরেইজ শরণার্থী শিবির এবং উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া ক্যাম্পে তাণ্ডব চালাচ্ছে দখলদাররা। ভয়াবহ হামলায় এলাকাগুলোতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আরো অসংখ্য বেসামরিকের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে’।
বৃহস্পতিবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরো ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন আরো ৪৫ জন। এ নিয়ে গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৫৪৫ জনে। অপরদিকে আহত হয়েছেন আরো ৭৬ হাজার ৯৪ জন।
এদিকে হামলার পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা বাধাগ্রস্ত করতেও সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। বিভিন্ন সংস্থাকে টার্গেট করে হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা।
খাবারের অভাবে উত্তরাঞ্চলে এরই মধ্যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএসএইডের পরিচালক সামান্তা পাওয়ার। উত্তরাঞ্চলে পর্যাপ্ত খাবার এবং সুপেয় পানি সরবরাহ হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। এই প্রথম মার্কিন কোনো কর্মকর্তা অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের বিষয়টি স্বীকার করলো।
এমন পরিস্থিতিতে খাবারের অভাবে সামনের দিনগুলোতে বিপুল প্রাণহানি এড়াতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।’