ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা কোনটি’? এমন প্রশ্নের জবাবে যে কেউ খুব সহজেই ‘ফুটবল’ নামটি সবার আগে বলবে। আর তাই এবার সেই ফুটবলের জন্য বিশেষ দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। আর এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন এক বিস্ময়।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র যেখানে ১৯৩টি। সেখানে ফিফার সদস্য ২১১ টি দেশ। এমনই তুমুল জনপ্রিয় আর সর্বজনবিদিত এই খেলার জন্য এবার মে মাসের ২৫ তারিখ বিশ্ব ফুটবলের দিবস ঘোষণা করেছে।
ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সদস্যদেশগুলোর ভোটে চলতি বছর থেকে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফুটবল দিবস হিসেবে ২৫ মে নির্ধারণ করার পেছনেও আছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব। ১৯২৪ সালের একই তারিখে মেতে প্যারিসে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্ট শুরু হয়েছিল। সেটি ছিল ফুটবলে বিশ্বের সব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। এমন ঐতিহাসিক দিবসের ১০০ বছর পূর্তিতে পালন করা হবে বিশ্ব ফুটবল দিবস।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশন উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে লিবিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি তাহের এল-সনি। রেজ্যুলেশন উপস্থাপনায় তিনি বলেন, এটি নিছক একটি খেলার চেয়েও বেশি কিছু, যা সব বয়সীরা রাস্তায়, গ্রামে, স্কুলে এবং পল্লিতে আনন্দের জন্য ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে খেলে থাকে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের খেলাধুলা অঙ্গনে ফুটবলের ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থান’ আছে। ‘জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বাধা কাটিয়ে ফুটবল বিশ্বজুড়ে সর্বজনীন ভাষা হিসেবে কাজ করে।’
রেজ্যুলেশনে ফুটবলের বৈশ্বিক পরিধি এবং বাণিজ্য, শান্তি ও কূটনীতির মতো বিভিন্ন সামাজিক খাতে এর প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেইসঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে ফুটবলের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফুটবলের উন্নয়ন ও প্রসারে খেলার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার মূলনীতি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় ফুটবল সংস্থার কার্যক্রমের কথা উল্লেখ ছিল সেই রেজ্যুলেশনে।
ডেনিস ফ্রান্সিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি সদস্যদেশ সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ মে বিশ্ব ফুটবল দিবসের পক্ষে ভোট দেয়। বিশ্ব ফুটবল দিবসের রেজল্যুশনে সব দেশ, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ এবং প্রাইভেট সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশ্ব ফুটবল দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়।’