নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে আংশিক রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার ইচ্ছা করলে কোটা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারে। এছাড়া, কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে অথবা পদ ফাঁকা থাকলে তা সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা যাবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ সারা দেশে চতুর্থ দিনের মতো চলছে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা এই ইস্যুতে উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ করছে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২০১৮ সালের কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অহিদুল ইসলামসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত হয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হয় ৪ জুলাই। রিট আবেদনকারী পক্ষ সময় চেয়ে আরজি জানালে আপিল বিভাগ শুনানি পিছিয়ে দেন এবং রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার দুই শিক্ষার্থী কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।’
বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগে দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। এ আদেশ চার সপ্তাহের জন্য প্রযোজ্য এবং আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।’