আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বারবার বলে দেওয়া সত্ত্বেও কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে গেলেন স্বামী। আর এতে রেগে গিয়ে স্ত্রী চেয়ে বসলেন ডিভোর্স। অভিযোগ জানাতে ছুটলেন পুলিশের কাছেও।
ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। মঙ্গলবার (১৪ মে’) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর প্রদেশের আগ্রায় এক যুবতী তার স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছেন। তাদের ঝগড়ার কারণ, বাড়ি ফেরার পথে কুরকুরে আনেননি স্বামী। আর সেটি নিয়েই তুমুল ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একপর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। তিনি বলেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান।
এদিকে স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রী কুরকুরে-তে অস্বাভাবিক রকমের আসক্ত। রোজ তার ৫ রুপির এক প্যাকেট কুরকুরে চাই-ই চাই। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন মনোমালিন্য লেগেই থাকত। সম্প্রতিই চিপসের প্যাকেট নিয়ে ফের ঝগড়া হয়।
আর এরপরই রেগে বাপের বাড়ি চলে যান ওই যুবতী। পরে পুলিশের কাছে গিয়ে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান। যদিও যুবতীর দাবি, স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বছরই বিয়ে হয়েছে ওই দম্পতির। তবে যুবতীর ডিভোর্সের দাবির বিপরীতে তাদের মতভেদ মেটানোর এবং সংসার রক্ষা করার প্রচেষ্টায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে।’
উত্তর প্রদেশের শাহগঞ্জ থানা এলাকার ওই তরুণীর বিয়ে হয় সদর থানা এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। ২০২৩ সালে হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তারা। কিন্তু স্ত্রীর অতিরিক্ত কুরকুরে খাওয়ার অভ্যাসই দুজনের মধ্যে বিবাদ তৈরি করে বলে অভিযোগ স্বামীর।
এদিকে ৫ রুপির কুরকুরের জন্য স্ত্রী যে বিবাহবিচ্ছেদের পথে যেতে পারেন এমনটা ভাবতেও পারেননি ওই যুবক। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন স্ত্রী। যুবকের অভিযোগ, ‘আমার স্ত্রী প্রতিদিন কুরকুরে খেতে চায়। প্রতিদিন কুরকুরে আনতে আনতে আমি ক্লান্ত।’
সংবাদমাধ্যম বলছে, স্বামী-স্ত্রী ইতোমধ্যেই মনোরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান আসেনি। চিকিৎসক তাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।’