নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, ভারতে গিয়ে হত্যার শিকার এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের নতুন তথ্য দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল ও মুস্তাফিজ।’
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছুড়ি থেকে আসামি ফয়সাল ও মুস্তাফিজকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখনই তারা আমাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অকপটে স্বিকার করেছিলেন। এরপরও আরও বিস্তারিত জানতে আমরা আদালতে রিমান্ড আবেদন করি। আসামিরা আমাদের জানায়, আক্তারুজ্জামান শাহিন ফয়সাল ও মুস্তাফিজের পাসপোর্ট ও ভিসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যতদিন তাদের পাসপোর্ট হয়নি ততদিন তারা শাহিনের বাসায় ছিলেন। সেখানে থেকেই শাহিনের পিএস এর মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে। এরপর তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন শাহিন। যেনো ফয়সাল ও মুস্তাফিজ রেলযোগে ভারত চলে যান। পরে প্রথমে সেখানে গিয়ে তারা হোটেলে ছিল। পরে সঞ্জীভা গার্ডেনে উঠেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, এমপি আনার গোপালের বাসার থেকে বের হবার পর ফয়সাল লাল গাড়িতে করে তাকে নিয়ে এসে শিমুল ভূঁইয়ার কাছে পৌঁছে দেয়। পরে শাহিনের পিএস পিন্টুর মাধ্যমে ক্লু ফোন পায়। পরে সিয়ামের মাধ্যমে বাসায় নিয়ে যায়। এরপর চেয়ার-চাপাতিও ফয়সাল ও মুস্তাফিজ সেই বাসায় নিয়ে যায়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর সবাই ওই বাসার থেকে বরে হওয়ার পর ফয়সাল ও মুস্তাফিজ সেই বাসায় থেকে যায়। তখন শাহিনে তাদেরকে বুঝায় যে বাসাটি যেনো ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়। কোথাও যেনো রক্তের দাগ লেগে না থাকে। তাহলে সিআইডি এলে বুঝে যাবে। এবং তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে। এরপর যেনো তারা বাংলাদেশে ফিরে।
তিনি আরও বলেন, ফয়সাল ও মুস্তাফিজের বাংলাদেশে ফেরার টিকিটও শাহিন করে দিয়েছিলেন। তারা দেশে ফিরে শাহিনের বাসায় উঠে। এরপর ১৯ তারিখ শিমুল ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা লাগেজ ফেলে শাহিনের সিকিউরিটি গার্ডের কাছে রাখা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছে।’