ঠিকানা টিভি ডট প্রেস: সোমালিয়ার উপকূলে একদিন বিরতির পর আবার অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলতে শুরু করেছে জিম্মি হওয়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’। সোমালিয়ান জলদস্যুদের নির্দেশে নোঙর তুলে নিয়ে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ’) ইমেল বার্তায় জাহাজের চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, নোঙর তুলে এবার অজানা গন্তব্যে জাহাজটিকে নিয়ে যাচ্ছে এই দস্যুরা।
জলদস্যুদের নির্দেশে জাহাজের নোঙর তুলে ফেলা হয়েছে। দস্যুরা তাদের কোনো সুবিধাজনক স্থানে হাজাজটিকে নিয়ে যেতে চাইছে বলে জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান।
ওই ইমেল বার্তায় আতিক মালিক পক্ষকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল গারাকাতে নোঙর করা হয়েছিল। একদিন বিরতির পর আবার চলতে শুরু করেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’। শুক্রবার সকালে জলদস্যুদের নির্দেশে নোঙর তুলে ফেলা হয়েছে। এরপর জলদস্যুরা জাহাজটি চালাতে নির্দেশ দেয়। বর্তমানে জাহাজটি গারাকাত উপকূল থেকে উত্তরদিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরেুল করিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, চিফ অফিসারের মেইল পেয়েছি। জাহাজের সব নাবিক সুস্থ আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। দস্যুরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না এবং এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়েও কথা বলেনি। জাহাজ নিয়ে তাদের পছন্দমতো কোনো নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছানোর পরই হয়ত দস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে।
এর আগে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১২ মার্চ’) দুপুরে শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিতে ২৩ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।’