নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ১০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৩৮ প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ১২টি। এর ফলে ওই বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রম যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০০। এই ১০০ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৭৮৭ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০৭ জন।
শিক্ষা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ৩৮ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য ১২টি। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক না থাকায় এসব বিদ্যালয়ে কোনো একরকমভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
এদিকে পাকশীর রূপপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৬১ জন। শিক্ষক রয়েছেন ৬ জন। বিদ্যালয়ে প্রায় দুই বছর ধরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করানোসহ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষে নির্ধারিত পাঠদানের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যস্ত সময় পার করতে হয়।’
উপজেলার যুক্তিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজওয়ান কোরেশী বলেন, ‘ক্লাস নেওয়া ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। প্রয়োজনে ছুটিও নিতে পারি না। ফলে নানাবিধ সমস্যা হয়।’
গোয়ালবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকশানা আক্তার ২০১৮ সাল থেকে এ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন,চাপে থাকলেও সকলে মিলেমিশে কাজ চালিয়ে নিই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন,উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই, সিনিয়র সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’