নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদযাত্রার আজ চর্তুথ দিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। তবে রেলপথে ঈদযাত্রা উৎসবমুখর হলেও বাড়তি ভাড়া আদায় আর যানজটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাস যাত্রীদের।
যাত্রীরা বলছেন, কয়েকটি পরিবহনে ভাড়া বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এছাড়া অনেক বাসে অর্ধেক যাত্রায়ও সংশ্লিষ্ট রুটের শেষ গন্তব্যের টিকিটের মূল্য পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছে।’
তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’।
বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাসে নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যাত্রীদের ভাষ্য, বিশৃঙ্খল পরিবেশে পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা একপ্রকার জিম্মি করে ভাড়া বাড়িয়েছেন। দিন যত যাবে এমন বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকবে। সব মিলিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।’
গাবতলী বাস টার্মিনালে এক যাত্রী বলেন, ঈদ এলেই বাড়তি ভাড়ার বোঝা নিতে হয় যাত্রীদের। কয়েক সপ্তাহ আগেও গাইবান্ধার এসি বাস সার্ভিস ওরিন পরিবহনে যে টিকিট এক হাজার টাকা ছিল; সে টিকিট এখন দুই হাজার টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য পরিবহনেরও একই অবস্থা।’
বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে গাবতলী বাস টার্মিনালে ওরিন পরিবহনের এক টিকিট বিক্রেতা বলেন, একটা গাড়ি যখন ঢাকার বাইরে যায়, সেই গাড়ি তিনজন যাত্রী হলে ঢাকায় ফিরে। তখন আমাদের ব্যয় বেড়ে যায়। সেই ব্যয় পূরণ করতে কিছু সময় ভাড়া বেশি নেওয়া হয়। এর বেশি কিছু আর বলতে পারব না।
গাবতলী বাস কাউন্টারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ন্ত্রণে বুথ বসিয়েছে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বুথের ফিল্ড সুপারভাইজার বলেন, অন্য সময়ে বাস মালিকেরা ছাড় দিলেও ঈদের সময় দেয় না। কারণ ঈদে সবাই লাভের মুখ দেখতে চায়। মধ্যবর্তী যাত্রীদের ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মধ্যবর্তী যাত্রীদের নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। বাসের রুট অনুযায়ী তাদেরকে সর্বশেষ দূরত্বের ভাড়ায় দিতে হবে।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি বলেন, আমাদের সমিতি থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে বাস মালিকদের কেউ যেন নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি না নেয়। তাছাড়া সমিতি থেকে সব টার্মিনালে টিম পাঠানো হয়েছে। বেশি ভাড়ার অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’