আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলের হামলায় প্রায় তিন হাজার ফিলিস্তিনি শিশু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে গাজার চিকিৎসকরা।
শনিবার(৮ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় বন্ধপ্রায় গাজার বেশিরভাগ হাসপাতাল। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে খাবার ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চেতনানাশক ছাড়াই অঙ্গচ্ছেদ করতে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা। প্রচণ্ড মানসিক আঘাত নিয়ে পুরো একটি প্রজন্ম বেড়ে উঠছে।
ইসরায়েলি হামলায় অঙ্গ হারানোদের একজন শাম। তার মা আলজাজিরাকে জানান, ঘরের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল সে। এমন সময় একটি শার্পনেল তার হাতে আঘাত করে। আমি দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি তার হাত যেনো সুতোয় ঝুলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা এখন আর অবশিষ্ট নেই। ফলে শামকে নিয়ে তার মায়ের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে শামের অপারেশন অ্যানেসথাসিয়ার মাধ্যমে করতে পারায় তাকে ভাগ্যবান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’
গাজার আল আকসা হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন মোহাম্মদ শাহীন বলেন, যথেষ্টসংখ্যক আঘাত আর আহতদের সুস্থ করার জন্য হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎস ও সংস্থান নেই। ফলে পরিস্থিতি এখন চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।’
আলজাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘের তালিকায় অপরাধী হিসেবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, শুক্রবার (০৭ জুন) জাতিসংঘ থেকে এক প্রজ্ঞাপন পেয়েছেন গিলাদ। এতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্ত অত্যন্ত লজ্জাজনক উল্লেখ করে তিনি এতে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজ বলেন, জাতিসংঘের এমন পদক্ষেপের কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ জন্য জাতিসংঘকে পরিণাম ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।’