আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকে অবস্থিত একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। আল আসাদ নামের সেই বিমানঘাঁটিতে হওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কিছু মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। তবে তাদের সংখ্যা ঠিক কত তা প্রকাশ করা হয়নি।
রোববার (২১ জানুয়ারি’) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম ইরাকের আল আসাদ বিমানঘাঁটি নিশানা করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালায় ইরানপন্থি মিলিশিয়া গোষ্ঠীদের একটি জোট। এই ঘাঁটিতে মার্কিন সেনারা থাকেন। এই হামলায় বেশ কয়েক জন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন।
মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, ইরান-সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী শনিবার সন্ধ্যায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট দিয়ে আল আসাদ বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
মূলত এই আল আসাদ বিমানঘাঁটিতেই মার্কিন সেনারা অবস্থান করছেন।
বিবিসি বলছে, হামলায় অনির্দিষ্ট সংখ্যক মার্কিন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের ‘আঘাত মূল্যায়ন করা হচ্ছে’। এছাড়া হামলায় অন্তত একজন ইরাকি সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার ছোড়া অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হলেও কয়েকটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে’।
এর আগে শনিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিমান হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে ইরান। ওই হামলায় ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচজন সিনিয়র সদস্য নিহত হয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিরোধী ইরানের মিত্ররাও লেবানন, সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু বানানোয় এতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এছাড়া সিরিয়া, ইরাক ও পাকিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইরানের সামরিক বাহিনীও বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আংশিক দোষারূপ করে থাকে ইরানপন্থি এসব গোষ্ঠী।’