নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজের মামলা থেকে বাঁচার জন্য আবার নতুন করে মাঠে নেমেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে অপপ্রচার শুরু করেছেন। সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা রটনা করছেন। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বলয়ে আবার নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
সরকার বর্তমান সরকার একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়, এই সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পেস দিচ্ছে না এমন বক্তব্য দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উল্লেখ্য যে, একাধিক দুর্নীতির মামলায় এখন নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে ড. মুহম্মদ ইউনূসকে। আর এই মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে তিনি প্রতিদিনই কিছু না কিছু নাটক করছেন।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনের ঊর্ধ্বে নন। তিনি একটি মামলায় ইতোমধ্যে দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, অর্থ আত্মসাতের মামলাগুলো এখনও চলমান আছে, যেগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে চার্জশিট প্রদান করেছে। এই সমস্ত মামলা থেকে তিনি জামিনে আছেন। এই মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া চলমান। এই বিচার প্রক্রিয়ায় উপস্থিত হতে হচ্ছে তাকে আদালতে এবং আদালত অন্য দশজন অভিযুক্তকে যেভাবে বিচার প্রদান করেন সেভাবেই তাকে বিচার প্রদান করেছেন। কিন্তু এই বিচার নিয়েও তিনি প্রতিবারই প্রশ্ন তুলছেন। প্রতিবারই তাকে লোহার খাঁচায় বন্দি রাখা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন। বিচারকে প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা করছেন।
সাম্প্রতিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তারা ড. ইউনূস ন্যায় বিচার পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ড. ইউনূসের ব্যাপারে যেন যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় সে সম্পর্কেও তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।’
আইনমন্ত্রী অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি অন্যান্য আসামিরা যেভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পান এবং সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পান, একই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। আইনমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, ইউনূস মামলা থেকে বাঁচার জন্য নানারকম রকম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো উঠেছে সেই অভিযোগগুলো প্রমাণের দায়িত্ব তারই এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হবে। ইতোমধ্যে আয়কর ফাঁকির একাধিক মামলায় তিনি পরাজিত হয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে। যে সমস্ত আয়কর তিনি ফাঁকি দিয়েছিলেন, সেই আয়কর গুলো তিনি পরিশোধ করেছেন। এখন তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার বা দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠছে সেই অভিযোগগুলো সঠিক না ভুল তা প্রমাণের দায়িত্ব আদালতের।
ড. ইউনূস নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করাটা যেমন অযৌক্তিক, তেমনই এখনই তাকে দোষী বলাটাও আইনসিদ্ধ নয়। আদালতকে তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় চলতে দেওয়া উচিত। সরকারও সেই বক্তব্যটি দিচ্ছে। সরকার বলছে, ইউনূসের মামলা প্রত্যহারের এখতিয়ারও যেমন সরকারের নাই, আদালতে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করারও অধিকার সরকারের নাই। ইউনূসের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা আদালতই চূড়ান্ত করবে। কিন্তু ড. ইউনূস সম্ভবত উপলদ্ধি করতে পেরেছেন যে, তিনি যে কাজগুলো করেছেন সেই কাজগুলো সঠিক ছিলো না এবং তিনি এ ধরনের অভিযোগগুলো অভিযুক্ত। আর এ কারণে তিনি এ মামলাগুলোর বাক পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। মামলাগুলোকে অন্য খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। আর এ জন্যই তিনি এখন সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে অপপ্রচারের মিশনে নেমেছে।’