নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম শূন্যপদ পূরণ নিয়ে নানামুখী আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত দুজনকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, তাদের পদোন্নতি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের পদ নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন করে আলাপ আলোচনা চলছে। আগামী ২৩ জুন দলটির ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আর এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পরপরই আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক বিষয়ে মনোযোগ দেবে। দলের ভেতর নতুন করে শুদ্ধি অভিযান শুরু হবে। যারা দলের ভেতর বিভক্তির সৃষ্টি করছে, কোন্দল তৈরি করছে তাদেরকে শেষবারের মতো সতর্ক করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদ পূরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম শূন্যপদে কারা আসছেন-এ নিয়ে বিভিন্ন রকমের আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা অতীতে বিভিন্ন সময়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, এবার নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাদের কাউকে কাউকে প্রেসিডিয়ামে আনার বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেলের নাম আলোচনায় আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত দুদিন তার নিয়মিত ব্রিফিংয়ের আগে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছেন যে, বিএম মোজাম্মেলের পদোন্নতি হচ্ছে। তবে কী পদোন্নতি হচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। এখান থেকেই ধারণা করা হচ্ছে যে, প্রেসিডিয়ামে শূন্যপদে হয়তো তাকে আনা হতে পারে।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্নমতও রয়েছে, যেহেতু আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবার কোন কিছুই পাননি। হুইপ, মন্ত্রিত্ব কিংবা সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবেও তাকে রাখা হয়নি। সাতবারের নির্বাচিত এই এমপির এই অপাংক্তেয় অবস্থায় থাকাটাকে অনেকে বিস্ময়কর মনে করছে। এজন্য অনেকের ধারণা আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাকে হয়তো প্রেসিডিয়ামে আনা হতে পারে। তবে কারও কারও মতে, দুর্দিনে আওয়ামী লীগের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সাথী বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে দলের জন্য অবদান রাখা নেতা আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম প্রেসিডিয়ামে আসতে পারেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। এবার ফেনীর একটি আসন থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রেসিডিয়ামে আসার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে নোয়াখালী অঞ্চলে যে রাজনৈতিক বিভক্তি অনৈক্য এবং কোন্দল তার প্রেক্ষিতে আলাউদ্দিন নাসিমকে প্রেসিডিয়ামে আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। কারণ ওই অঞ্চলে তার একটা আলাদা গ্রহণযোগ্যতা আছে।’
আবার গত নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে মহিলা কোটায় সংসদ সদস্য হওয়া মুন্নুজান সুফিয়ানের নাম নিয়েও কথাবার্তা বলা হচ্ছে। তবে অনেকের ধারণা মুন্নুজান সুফিয়ান যেহেতু বয়সে প্রবীণ এবং তার অতীত অবদানের কথা বিবেচনা করে তাকে প্রেসিডিয়ামে আনা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, প্রেসিডিয়ামে বা মন্ত্রিসভায় কে আসবে না আসবে ইত্যাদি সিদ্ধান্তগুলো একান্তই আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহীর বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তাকেই দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগে কাউন্সিলের বাইরে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখনও প্রেসিডিয়ামে দুটি পদ শূন্য রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।’