অহংকার হলো রঙিন চশমা, খুলে ফেলুন দেখবেন সৃষ্টির তুলনায় আপনি কত নগন্য।
ইসলামে গর্ব ও অহংকারকে হারাম করা হয়েছে, অহংকারীর পতন অনিবার্য।
আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা বলেন,
وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِى الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ
‘আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। আর যমীনে দম্ভভরে চলাফেরা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না।
(সূরা লুকমান, আয়াতঃ ১৮)
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنهما- قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : « الْعِزُّ إِزَارُهُ وَالْكِبْرِيَاءُ رِدَاؤُهُ فَمَنْ يُنَازِعُنِي عَذَّبْتُهُ.
আবু সায়িদ খুদরি ও আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইজ্জত তার লুঙ্গি ও অহংকার তার চাদর, অতএব যে আমার সাথে টানাহেঁচড়া করবে আমি তাকে শাস্তি দিব। মুসলিম, ইব্ন মাজাহ ও আবু দাউদ।
হাদিসটি সহিহ।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূল ﴾ﷺ﴿ বলেছেন,যার অন্তরে অনু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। একজন বললো, মানুষ এটাই পছন্দ করে যে তার পোশাক সুন্দর হোক, এমনকি তার জুতা জোড়াও সুন্দর হোক (তাহলে তাও কি অহংকার)? উত্তরে নবী ﴾ﷺ﴿ বললেন, আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। আসলে অহংকার হচ্ছে সত্য ও ন্যায়কে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ করা।
(সহীহ মুসলিমঃ ৯১, তিরমিযীঃ১৯৯৮, আবু দাউদঃ ৪০৯১, আহমাদ৩৭৭৯)
হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যার অন্তরে সরিষার দানা (অর্থাৎসামান্য তম) পরিমাণও অহংকার আছে, সে (প্রথম পর্যায়েই) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং যার অন্তরে সরিষার দানা (সামান্যতম) পরিমাণ ঈমান আছে সে জাহান্নামে (স্থায়ীভাবে) প্রবেশ করবে না।
(সহীহ মুসলিম, অনুচ্ছেদ-৪০)
যারা অহংকারী, কেয়ামতের দিন তাদেরকে পিঁপড়ার সমান মানুষকরে উঠানো হবে. . .সমস্তপ্রকার লাঞ্চনা ও গঞ্ছনার মাঝেতারা পড়বে (মানুষ পিষেফেলবে, পায়ে মাড়িয়েদেবে ইত্যাদি)। তাদেরকে জাহান্নামীদের রক্ত ও পূজখাওয়ানো হবে। (তিরমিযীঃ ২০২৫)
তাই আসুন নিজেকে পরিশুদ্ধ করি, অহংকার মুক্ত জিবনে ফিরে গিয়ে মানুষকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি।