অষ্টম দিনের মতো চলছে সিরাজগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি পালন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্ম বিরতির পালন করছে তারা।

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যু সমিতি -১
সোমবার (১লা জুলাই) সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যু সমিতি-১ সহ সারাদেশের সবগুলো পল্লীবিদ্যু সমিতি একযোগে কর্মবিরতি পালন করছেন।
অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির কারনে সারাদেশে বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক প্রায় ১২ কোটি। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি’) দৈত্ব নীতির কারনে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী।
একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও
পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন বলে জানান তারা। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানান। আরও জানান বিতরন লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়না।
আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ০৫ই মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যায়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেন এবং বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানান। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া না হলে এবং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাসপেন্ড, সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজ যারা আছে সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সাসপেন্ড দুইজন ও স্ট্যান্ড রিলিজ দুইজনকে অদ্যাবধি অব্যাহতি দেওয়া হয় নাই বলে জনান।’

তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপিড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে পুণরায় কর্মবিরতিতে যেতে হলো আমাদের। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দুটি দাবি হলো-১। স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মানে আরইবি ও পিবিএস একীভূত করণসহ অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২। ভবিষ্যত বিদ্যুত ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে বলে দাবী জানান।
সারাদেশে সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করলেও জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে বলে জানান।’

Facebook
Twitter
WhatsApp
Pinterest
Telegram

এই খবরও একই রকমের

শহীদ না হওয়ার আক্ষেপ, শহীদ পরিবারের সদস্য হতে চান জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমার আফসোস এবারের এ যুদ্ধে আমি শহীদের পরিবারের একজন হতে পারলাম না। এ সৌভাগ্য যাদেরকে আল্লাহ দান করেছেন তাদেরকে আমার ঈর্ষা হয়। আমি

বেনজীরের সাভানা পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতের নির্দেশে জমি ও সড়ক দখলসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক(আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে করা

উপদেষ্টা ফারুকীকে নিয়ে যা বলল হেফাজতে ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার (১১ নভেম্বর)। দলটির ঢাকা

এবার থানায় হাজির রাসেলস ভাইপার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে এবার থানায় দেখা মিললো রাসেলস ভাইপারের। সোমবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর চারঘাট থানার বাথরুমে এই সাপের দেখা মেলে। পরে সেটিকে মেরে ফেলেন পুলিশ

নানকের বাসায় অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের বাসায় অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’ বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে নানকের মোহাম্মদপুরের বাসায়

ঘরে ঢুকেছে বিএনপি, নতুন কৌশলে জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন সহিংস রূপ নেয় তারপর থেকেই সরকার কঠোর অবস্থানে। কারফিউ জারি এবং সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে সরকার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।