নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। তবে চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে দুইটি লঘুচাপের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে আগামী তিন দিনের বর্ধিত সময়ে বৃষ্টি কমতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর’) আবহাওয়া অফিসের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ।
তার স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৫ নম্বর) জানানো হয়, বঙ্গোপসাগেরে থাকা স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হয়ে আজ সকালে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নিম্নচাপটির প্রভাবে আজ সারাদেশে বৃষ্টিপাত হবে। যা থাকবে আগামীকাল পর্যন্ত। তবে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত কমে যাবে। এই স্থল গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে গত দুইদিনে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে।’
দেশের প্রতিটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর আর নদী বন্দর দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখে যেতে বলা হয়েছে। যা আজ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’
সংস্থাটি জানায়, রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (২-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর’) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।’